বাংলাদেশে প্রতিবছর বিচারাধীন মামলার প্রায় ৬০ শতাংশই জমিজমা সংক্রান্ত। এ বিষয়গুলো নিষ্পত্তির জন্য বাংলাদেশ সরকার ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজেশনসহ নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ভূমি ব্যবস্থার অটোমেশন, ডিজিটাল ভূমি জরিপ, চর ডেলেপমেন্ট এন্ড সেটেলমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীনদের মধ্যে খাসজমি বন্দোবস্ত প্রদান, ভূমি রেকর্ড আধুনিকীকরণ ইত্যাদি। কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় সাধারণ মানুষ বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এ সকল সুবিধা সম্পর্কে অবগত নন। অন্যদিকে এসব ব্যবস্থা নিয়ে প্রচার প্রচারণার অভাব লক্ষ্য করা গেছে।
এ প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় নিয়ে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম এর উদ্যোগে এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন- এর সহযোগিতায় ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আরো কয়েকটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ‘ভূমি ব্যবস্থাপনায় সাম্প্রতিক উদ্যোগ ও নাগরিক অধিকার’ শীর্ষক একটি সংলাপের আয়োজন করা হয়।
সংলাপটি বৃহস্পতিবার ২ মার্চ ২০২৩ তারিখ সকাল ১১.৩০ টা থেকে দুপুর ২.০০ টা পর্যন্ত ব্র্যাক সেন্টার ইন (অডিটোরিয়াম), মহাখালীতে অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব সাইফুজ্জামান চৌধুরী, এমপি, মাননীয় মন্ত্রী, ভূমি মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংলাপে মুখ্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। এছাড়াও বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট ফজলুল হক, প্রতিষ্ঠাতা, মাদারীপুর লিগ্যাল এইড এসোসিয়েশন এবং ড. ইফতেখারুজ্জামান, কোর গ্রুপ সদস্য, নাগরিক প্ল্যাটফর্ম এবং নির্বাহী পরিচালক, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংলাপে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, উপসচিব এবং ন্যাশনাল পোর্টাল ইমপ্লেমেন্টেশন স্পেশালিস্ট, a2i, অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদ সিরাজী, ম্যানেজার (প্রোগ্রাম), এএলআরডি এবং অ্যাডভোকেট মাহফুজ বিন ইউসুফ, সিনিয়র সহ-সম্পাদক, নির্বাহী কমিটি (২০২২-২৩), বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন।
সংলাপটি সভাপতিত্ব করেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, আহ্বায়ক, নাগরিক প্ল্যাটফর্ম এবং সম্মাননীয় ফেলো, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এবং সংলাপে প্রারম্ভিক বক্তব্য উপস্থাপন করেন মিজ শাহীন আনাম, কোর গ্রুপ সদস্য, নাগরিক প্ল্যাটফর্ম এবং নির্বাহী পরিচালক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।
এছাড়াও সংলাপে উপস্থিত ছিলেন ভূমি অধিকার নিয়ে কাজ করেন এমন বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিক সংগঠনের (সিএসও) নেতৃবৃন্দ, আইনজীবী, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, উন্নয়ন সহযোগীবৃন্দ, নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং গণমাধ্যমকর্মী।
সংলাপের শুরুতে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন যে, বর্তমানে ভূমি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ বনায়ন হচ্ছে, নদী ভাঙ্গন হচ্ছে এবং এ ভূমির বিষয়ের সাথে নারীর অধিকার এবং আদিবাসীর অধিকারও ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে। এ বিষয়ের সাথে সাম্প্রতিককালে যুক্ত হচ্ছে পরিবেশ বিষয়ক অভিঘাত। তাই তিনি মনে করেন এই আলোচনা শুধুমাত্র ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়, এ বিষয়টি বহুমাত্রিক। নাগরিক প্ল্যাটফর্ম এর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মূলত পিছিয়ে পড়া মানুষদের নিয়ে কাজ করে আসছে যেখানে রয়েছে ভূমিহীন মানুষের অধিকার, কৃষকের অধিকার, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী এবং নারীর অধিকার। সে চিন্তা থেকেই এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।
জনাব সাইফুজ্জামান চৌধুরী, এমপি, মাননীয় মন্ত্রী, ভূমি মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বলেন যে, বর্তমানে অর্থনীতি বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে মানুষের চাহিদাও বাড়ছে, ভূমির ক্ষেত্রেও মানুষের চাহিদাও ক্রমবর্ধমান হচ্ছে। যার ফলে মাটি হয়েছে সোনার খনি। তিনি বলেন সংলাপ থেকে যেসকল বিষয় উঠে এসেছে সবগুলোকে মাথায় রেখেই ভূমি মন্ত্রণালয় কাজ করবেন। তিনি আরো বলেন যে, কাজ শুরুর আগে তারা মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য গ্রহণ করেছেন। ফলে তারা সব জনগণের কথা মাথায় রেখেই কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। তিনি বলেন তাদের উদ্যোগ যেনো টেকসই হয় সেদিকে তারা জোর দিচ্ছেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী থেকে নির্দেশ আছে যেনো তিন ফসলা জমিতে কোনো স্থাপনা না করা হয় এবং এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে ভূমি মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও খাদ্য নিরাপত্তা এবং ভূমি অপরাধ আইন পাসের বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেন যে, বর্তমানে একটি শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠী রয়েছে যাদের তিনি ভূমি সেবা প্রদান কার্যে নিয়োজিত করবেন যা বেকারত্ব দূরীকরণে অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে। তিনি তার মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের জন্য এবং জনগণের জন্য সুফল বয়ে আনার অঙ্গীকার প্রকাশ করেছেন।
সংলাপের মুখ্য বক্তা জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন যে, বাংলাদেশে পূর্বে যে জরিপের মাধ্যমে খতিয়ান করা হতো তা ছিলো হাতে লিখিত। এর ফলে অনেক ভুল-ভ্রান্তির এবং প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হতো। এই প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে, মাননীয় ভূমি মন্ত্রী ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজেশনের উদ্যোগ নিয়ে থাকেন। যেখানে প্রায় ১,৩৮,০০০ জমির শিটকে ডিজিটালাইজ করা হয়। এই ডিজিটালাইজেশনের পর বর্তমানে অনলাইনে সহজেই মানুষ ভূমি সংক্রান্ত সেবা ভোগ করতে পারে। এ জরিপের নাম দেয়া হয় ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে’। এছাড়াও তিনি বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে বর্তমানে কাস্টমার কেয়ার চালু করা হয়েছে যেখানে ভূমি সেবা গ্রহণকারীরা ভূমি সংক্রান্ত যেকোনো সাহায্য গ্রহণ করতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন আগামী ২৯ শে মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভূমি সংক্রান্ত মোবাইল অ্যাপের উদ্বোধন করতে যাচ্ছে যেখানে ভূমি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন যে, আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে খাজনা দেয়াও অনলাইনে করা হবে যার ফলে সেবা গ্রহণকারীরা যেকোনো স্থানে বসে খাজনা প্রদান করতে পারবে। সাধারণ জনগণের জন্য ভূমি সংক্রান্ত সকল তথ্য নিয়ে একটি ল্যান্ড পিডিয়া তৈরি হচ্ছে বলেও আশ্বাস প্রকাশ করেন তিনি।
সংলাপের বিশেষ বক্তা ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন যে, সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং দুর্নীতি দূর করার ক্ষেত্রে ভূমি ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাইজেশন একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন, কিন্তু তা অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ায় হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করা জরুরি। বাংলাদেশের অনেক জনগণেরই ডিজিটাল সেবা গ্রহণ করার সুযোগ নেই, তাদের ক্ষেত্রে এটি একটি চ্যালেঞ্জ। সর্বোপরি, এ ব্যবস্থাপনার দুর্নীতিমুক্ত সঠিক বাস্তবায়নের আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মিজ শাহীন আনাম বলেন, তিনি এই ভূমি ব্যবস্থাপনার ডিজিটাইজেশনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত আশাবাদী। তিনি এ পদ্ধতির মধ্যে বিশাল সম্ভাবনা দেখতে পান। তার মতে ভূমি দখল বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় হিসেবে কাজ করছে। এই ডিজিটাইজেশন ব্যবস্থা তাই দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন এসকল প্রকল্প বড় পর্যায়ে যেমন নেয়া হয়েছে তেমন মাঠ পর্যায়ে এবং ব্যক্তিগত পর্যায়েও যেনো তার সঠিক বাস্তবায়ন হয় সে আশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন তার সংগঠন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ভূমিহীনদের মধ্যে খাসজমি প্রদান করার যে কাজ সে এই ব্যবস্থা হবে অত্যন্ত সহায়ক। তিনি বলেন যে, নারীদের একটি বড় বঞ্চনার জায়গা এই ভূমি। তিনি আশা রাখেন এই ডিজিটাইজেশন ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে একদিন এই বঞ্চনার অবসান হবে।
জনাব রফিক আহমেদ সিরাজী বলেন যে, যদিও ভূমি ব্যবস্থাপনার ডিজিটাইজেশন হয়েছে, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগীরা তা ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেনা। বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাদের কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ নেই তাদের ক্ষেত্রে এ সকল সুবিধা ভোগ করা সম্ভব হচ্ছেনা। অনেক ক্ষেত্রে দোকানে যেয়ে কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাদের মোটা অংকের অর্থ প্রদান করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন যে, অনেক ক্ষেত্রেই দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগীদের তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট আন্তরিক নয়। তিনি আরো বলেন যে, কৃষকদের ভূমি রক্ষার ক্ষেত্রে কৃষি জমি সুরক্ষা আইন করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই শিল্পায়নের নাম কৃষি জমি দখল করা হচ্ছে।
জনাব মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের ক্ষেত্রে এটুআই সহযোগিতা দিয়ে আসছে। বিশেষ করে তিনি বলেন যে, ই-নামজারি ভূমি মন্ত্রণালয়ের সফল উদ্যোগ। এছাড়াও এটুআই এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের থেকে একটি উত্তরাধিকার ক্যালকুলেটর সফটওয়্যার উদ্বোধন করা হয় যার দ্বারা কে কতটুক জমি উত্তরাধিকার সূত্রে পাবে তার সঠিক হিসাব করা সম্ভব। সবশেষে তিনি বলেন এসডিজি বাস্তবায়ন এবং প্রেক্ষিত পরিকল্পনাকে মাথায় রেখে শক্তিশালী ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন করা হবে।
অ্যাডভোকেট মাহফুজ বিন ইউসুফ বক্তব্য রাখেন যে, জমি সংক্রান্ত অনেক মামলা মোকাদ্দমা বছরের পর বছর ধরে অমীমাংসিত রয়েছে। ডিজিটাইজেশনের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এ বিষয়টিকে মাথায় রাখতে হবে।
রিভার এন্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টারের (আরডিআরসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ নদী ভাঙ্গনের ফলে যারা ভূমিহীন হয়ে যায়, সে সকল ভূমিহীনদের ভবিষ্যৎ কি হবে সে বিষয়ে আশংকা প্রকাশ করেন। আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক নরেশ চন্দ্র উরাও বলেন, খতিয়ানে নাম থাকলেও আদিবাসীরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তাদের ভূমি দখল করা হচ্ছে। তিনি এছাড়াও ৯৭ ধারা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য আকুতি করেন। সাতক্ষীরা থেকে আগত একজন প্রতিনিধি বলেন, ভূমিহীন মানুষদের তালিকা তৈরি করা এখন সময়ের দাবি। নাটোর থেকে আগত একজন নারী প্রতিনিধি বলেন, নারীরা ক্রমাগতই ভূমি অধিকার থেকে বঞ্চিত। ভূমি ব্যবস্থাপনায় যে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তা যেনো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয় এবং ভূমির ক্ষেত্রে যেনো নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
মিজ শাহনাজ নামক একজন নারী প্রতিনিধি বলেন যে, বর্তমানে ভূমি ব্যবস্থাপনায় যে সকল উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে তার প্রচার এবং প্রসারের অভাব রয়েছে। এ সকল ব্যবস্থাপনার সুপ্রচারের দাবি জানান তিনি। উদ্যোগ ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা জনাব জিল্লুর রহমান বলেন যে, ভূমি রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে ফরম্যাট রয়েছে যে যেনো পুনর্বিবেচনা করা হয়। এছাড়াও ভূমি কর্মকর্তাদের জনদক্ষতার ব্যপার নিশ্চিত করা হয়। মিজ সমাপিকা হালদার নামক একজন প্রতিনিধি বলেন যে, ভূমি ব্যবস্থাপনায় গৃহীত পদক্ষেপসমূহ পাঠ্যপুস্তকের আওতাভুক্ত করতে হবে। এছাড়াও দলিল লেখনী সহজ করতে হবে।
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য জনাব কাজল দেবনাথ বলেন যে, অর্পিত সম্পত্তির ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালে যে সকল আবেদন করেছে তার মাত্র ৪০ শতাংশ নিশ্চিত করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের মামলা অনেক ক্ষেত্রে সরকারের বিরুদ্ধে গিয়েছে যেগুলোতে জেলা প্রশাসকরা আপিল করছে না। ১৯ শতাংশ মাত্র আপিল হচ্ছে। তাই এক্ষেত্রে নজরদারি ব্যবস্থা আরো জোরদার করতে হবে। এছাড়াও একজন প্রতিনিধি কারিগরি দক্ষতার বিষয়টিকে বৃদ্ধির ক্ষেত্রে জোর দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
সংলাপের শেষে সভাপতি ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন যে, স্মার্ট বাংলাদেশের বর্শাফলক হিসেবে কাজ করবে এই ভূমি সংক্রান্ত সংস্কারের পদক্ষেপ। তিনি আরো বলেন এ সংস্কার বাস্তবায়নে নাগরিকদেরও পাশে নিয়ে সহায়ক হিসেবে কাজ করতে হবে। নাগরিক প্ল্যাটফর্ম সর্বদাই নাগরিকদের প্রতিনিধি হিসেবে পাশে থাকবেন এ অঙ্গীকার প্রকাশ করে বক্তব্য শেষ করেন তিনি।
Leave A Comment