স্থানীয় অভিজ্ঞতার সাথে জাতীয় উন্নয়ন আলেখ্যের ব্যবধান বেড়ে চলেছে
বাংলাদেশ উন্নয়ন অর্জনের একটি অনুকরণীয় উদাহরণ– এমন একটি দেশ যেটি ৫০ বছরের কিছু বেশি সময়ের মধ্যে তার সম্ভাবনা সম্পর্কে
বাংলাদেশ উন্নয়ন অর্জনের একটি অনুকরণীয় উদাহরণ– এমন একটি দেশ যেটি ৫০ বছরের কিছু বেশি সময়ের মধ্যে তার সম্ভাবনা সম্পর্কে
প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনৈতিক সংকটের স্বীকৃতি আছে। তবে সমস্যার মূল উৎস হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে বৈশ্বিক খাত। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রত্যাশা নেই। এ ছাড়াও সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক নিম্নমুখী থাকলেও মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধির (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। এসব লক্ষ্যমাত্রা রাজনৈতিক উদ্দীপনার পরিসংখ্যান মনে হয়েছে।
করোনার মধ্যেও আগের দুটি অর্থবছরে বাজেটের লক্ষ্যমাত্রাগুলোতে যে ধরনের উচ্চাশা ছিল, এবারের বাজেট সে তুলনায় সংযত কিংবা অবদমিত। সরকারের আয় ও ব্যয় এবং সামগ্রিক বিনিয়োগ প্রাক্কলনের তুলনামূলক বিশ্নেষণে তেমনটাই মনে হচ্ছে।
তিনটি জিনিস বলতে চাই। এক. অবশেষে এবারের বাজেট বক্তৃতায় অর্থনীতিতে বিদ্যমান সমস্যার একধরনের স্বীকৃতি আছে; ২. এসব সমস্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সমন্বিত মধ্যমেয়াদি কর্মসূচি অনুপস্থিত। ৩. বাজেটের সঙ্গে আয়-ব্যয়ের কাঠামোতে সংগতিপূর্ণ পরিবর্তন নেই, আয় কাঠামোতে যা-ও আছে, ব্যয় কাঠামোতে তা–ও নেই।
দেরিতে হলেও অর্থমন্ত্রী স্বীকার করেছেন অর্থনীতি একটি সংকটময় সময় অতিবাহিত করছে। তবে তিনি এ সমস্যার সংকটের মূল উৎস দেখেন বাইরে, আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতিতে। দেশের ভিতরে কাঠামোগত সমস্যাগুলো উঠে আসেনি কথায়।
সংযত বাজেটের লক্ষণ হলো- আগামী বছর মোট বিনিয়োগ গত বছরের সংশোধিত বাজেটে যে পরিমাণ ছিল তার থেকে কম; ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ। এবং সরকারি বিনিয়োগও ১ শতাংশের মতো কমে যাবে। আমরা যদি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেখি, গতবছরের তুলনায় এ বছরে জিডিপি’র প্রায় ৯.০৭ শতাংশ কোলন করা হয়েছে।
পিছিয়ে পড়া গরিব মানুষের ক্রয়ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে হবে। বাজারে নিত্যপণ্যের দাম এত বেড়ে গেছে যে পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়েছে। সে জন্য তাঁদের ক্রয়ক্ষমতা যেমন বাড়াতে হবে, তেমনি আয়ও বাড়াতে হবে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, দেশে তথ্যের অন্ধত্ব বিরাজ করছে। তথ্য যে সহায়ক শক্তি হতে পারে তা সরকার বা সংশ্লিষ্টরা উপলদ্ধি করছেন না। স্বল্প সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারে তথ্যের কার্যকারিতার আধুনিক মনোভাব দেখা যাচ্ছে না।
কৃষি বিশেষজ্ঞ ও সর্বজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কৃষিপণ্য কমিশন গঠন জরুরি। এ কমিশন কৃষি মন্ত্রণালয় বা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে না; বরং সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে 'কৃষি খাতে করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় সরকারি উদ্যোগ' নিয়ে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন।
The Daily Star in association with Citizen's Platform for SDGs and Plan International Bangladesh organised a virtual policy dialogue titled "Voluntary National Review 2020 and Youth Perspectives" on July 16, 2020. Here we publish a summary of the discussion.