বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে নিহিত রয়েছে এদেশের এনজিওদের জন্মের ইতিহাস। পরবর্তীতে সত্তর দশকের মধ্যবর্তী সময়ে এনজিও নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে সেক্টরের স্বার্থ রক্ষা ও উনড়বয়নের লক্ষ্যে এনজিওদের এপেক্স বডি গঠিত হয়। ২০০১-২০০২ সালে এপেক্স বডি তার মুল উদ্দেশ্য সেক্টরের স্বার্থ রক্ষা ও স্বার্থ উনড়বয়নের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হলে ঐক্যবদ্ধভাবে এনজিও সেক্টরের স্বার্থ সুরক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে জরুরিভাবে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক একটি সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। পরবর্তীকালে ২০০৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এনজিওদের জাতীয় কনভেনশনের মাধ্যমে ১৮৫০টি এনজিও প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ‘জাতীয় এনজিও সমন্বয় কমিটি’র পরিবর্তে পূর্ণাঙ্গভাবে ফেডারেশন অব এনজিওস ইন বাংলাদেশ (এফএনবি) গঠনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং এনজিও সেক্টরের স্বার্থ সমুনড়বত রাখা ও সুরক্ষাসহ উনড়বয়নসাধনে এনজিওসমূহের কর্মসূচি এবং কর্মকান্ডে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা উৎসাহিত করার মাধ্যমে সেক্টরের সদস্যসহ বিভিনড়ব অংশীদারদের মধ্যে সমন্বয়সাধন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এনজিওদের সমন্বয়কারী ফেডারেশন হিসেবে এফএনবি-র যাত্রা শুরু হয়।

যে কোন দুর্যোগে সরকারের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই এনজিও সেক্টরের প্রধান নেটওয়ার্ক ফেডারেশন অব এনজিওস্ ইন বাংলাদেশ (এফএনবি) এবারের বিশ্বব্যাপী অদৃশ্য শত্রু “করোনাভাইরাস”-এর সাথে যুদ্ধেও সদস্যদের সাথে নিয়ে অতীতের যে কোন মানবিক বিপর্যয়ের মতো একইভাবে এগিয়ে এসেছে এবং বিভিনড়ব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। করোনা সংক্রমণের শুরুতেই এফএনবি সকল সদস্যসংস্থা ও সংশ্লিস্টদের নিকট স্বাস্থ্যসচেতনতামূলক “এফএনবি বার্তা” প্রেরণ করেছে। সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে যোগাযোগ ও সমন্বয়ের পাশাপাশি নিয়মিত প্রেসরিলিজ প্রদানের মধ্য দিয়ে এফএনবি’র উদ্যোগ ও হালনাগাদ কার্যক্রম সংশ্লিস্ট সকলকে অবহিত করা হয়েছে। সদস্যসংস্থাসমূহ COVID-19 প্রতিরোধ ও মানুষের দুর্ভোগ নিরসনে তথা আর্তমানবতার সেবায় অনবদ্য ভূমিকা রাখছে, এগিয়ে এসেছে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী আর এফএনবি তা সমন্বয় করছে। এই সময়ে এনজিওসমূহ যেমন তাদের কর্মীদের খেয়াল রাখছে ঠিক তেমনি বিভিনড়ব সচেতনতামূলক ও সেবামূলক কাজের মাধ্যমে দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্যও অবদান রেখে যাচ্ছে।

সদস্যসংস্থাসমূহ সংক্রমনের শুরু থেকেই সামাজিক সচেতনতামূলক লিফলেট-স্টিকার বিতরণ, মাইকিং, ব্যানার-ফেন্টুন টানানোর মতো কর্মসূচী বাস্তবায়ন করেছে। সেই সাথে ‘হাত ধোয়া প্রশিক্ষণ ও নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব কেমপেইন’-এর মত কাজের পাশাপাশি স্যানিটাইজার, হ্যান্ড ওয়াশ, ব্লিচিং পাউডার, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লোভস, প্রটেকটিভ ওয়্যার জাতীয় স্বাস্থ্যসামগ্রী তৈরি ও বিতরণ করেছে। ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় কর্মীদের করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধের কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। জাতীয়, আঞ্চলিক এবং স্থানীয় পর্যায়ের এফএনবি সদস্য এনজিওসমূহ নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী কাজ করে চলেছে যার কিছুটা প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হলো:

বাংলাদেশে সংক্রমণের শুরু থেকেই ব্র্যাক ব্যাপক কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছে। ব্র্যাকের সম্মুখসারির কর্মীরা সারা দেশের ৬৮ মিলিয়ন মানুষকে সচেতনতামূলক ওরিয়েন্টেশন দিয়েছে। ১৭,৬১,১৯৯ টি স্বাস্থসামগ্রী কর্মী এবং কমিউিনিটির জনসাধারণের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে, ৮,৭৬,০০০ সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছে যার মধ্যে রয়েছে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, সার্জিক্যাল ক্যাপ, সেফটি গ্লাস। ব্র্যাক টেলিকাউন্সিলিং প্লাটফর্ম “মনের যতড়ব মোবাইলে” -এর মাধ্যমে ১২৪৩ জনকে কাউন্সিলিং করা হয়েছে। ব্র্যাক শহর এবং গ্রামীন নি¤ড়ব আয়ের ১৪,৮৪০ টি পরিবারে ২,১৭,০৫,০০০ টাকার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ এবং সারা দেশে (৬৪ টি জেলায়) নি¤ড়ব আয়ের ৩ লক্ষ ৫০ হাজার পরিবারের মধ্যে ৫২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে। এছাড়া ব্র্যাক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সহায়তার অংশ হিসেবে ৫০ টি করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপন করেছে। ব্র্যাকের যাবতীয় উদ্যোগ ও কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

করোনা মহামারীর কারণে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দরিদ্র, অতিদরিদ্র ও নি¤ড়বআয়ের মানুষ, বিশেষতঃ দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। আশা দরিদ্র, অতি-দরিদ্র ও নি¤ড়ব-আয়ের মানুষদের জন্য খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। করোনা মহামারিতে খাদ্য সংকটে থাকা ১,৫৪,৬৭০টি পরিবারকে আশা ১১.৫২ কোটি টাকা মূল্যমানের ২,৪৭৫ মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে। এ সকল খাদ্যসামগ্রী ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাব, সমাজসেবা অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি নিরসনে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে আশার পক্ষ থেকে সারা দেশে ২০ লাখ লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

বুরো বাংলাদেশ সকল জেলা ও উপজেলায় করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতামূলক ২২ লক্ষ ২৫ হাজার লিফলেট বিতরণ এবং ৫১,৬১৭ টি পরিবারের মধ্যে ৫,১০,৯৭,৮৩৬ টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরন করে। ত্রাণ প্যাকেজে ছিল: ১০ কেজি সেদ্ধ চাউল, ১ কেজি মুশুর ডাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি লবণ, ১ লিটার খাবার তৈল, ২০০ গ্রামের ১ প্যাকেট গুড়ো দুধ, ১ প্যাকেট সেমাই, ২টি সাবান এবং ২টি মাস্ক। বুরো বাংলাদেশ ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য ২০০ এন ৯৫ মাস্ক এবং টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ও টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন অফিসের জন্য ১০০ সেট পিপিই প্রদান করেছে।

সাজেদা ফাউন্ডেশন ২১ টি জেলার ১২৫০ পরিবারের মধ্যে ১,৬২,৫০০ টাকার পরিচ্ছনড়বতা সামগ্রী (সাবান, স্যানিটাইজার, মাস্ক) বিতরণ করেছে এবং চিকিৎসকদের জন্য ২,৮৭,৬০,২০০ টাকা ব্যয়ে ২০,৫৪৩ সেট ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) প্রদান করেছে। এছাড়া, ২৪,২০,০০০ টাকা ব্যয়ে ৪৮৪ টি ভ্রাম্যমান হাত ধোঁয়ার কেন্দ্র স্থাপন এবং তৈরি পোষাক কারখানায় ৫১,২৪০ টাকা ব্যয়ে ২৮৯ টি ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিন স্থাপন করেছে। ৪,৬৮,২০,২৩০ টাকা ব্যয়ে ৬৫,৭৬৮ টি পরিবারে খাদ্য ও ব্যক্তিগত পরিচ্ছনড়বতা সামগ্রী প্যাকেজ এবং ঢাকা শহরের ভাসমান জনগোষ্ঠীর একাংশের মধ্যে (২৭৯৮ জন) ৩,৩৫,৭৬০ টাকা ব্যয়ে তৈরি খাবার বিতরণ করেছে। এছাড়া ১৬,২৩,৮৩৫ টাকা নগদ অর্থ বিতরণের পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সকল কর্মীদের একদিনের মূল বেতন প্রদান করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী মহামারী ব্যাধি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ দুর্যোগ মুহুর্তে টিএমএসএস তার সর্বোচ্চ সামর্থ অনৃযায়ী দরিদ্র মানুষের কষ্ট দূরীকরণের জন্য খাদ্য ও চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে। ১০ টন ব্লিচিং পাউডার ক্রয় করে বিভিনড়ব রাস্তায় ২টি পানি ছিটানোর ট্যাংক লরী দ্বারা কমিউনিটিতে ডিজইনফেকশনের কাজ করেছে। জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতামূলক ৮ লক্ষ লিফলেট, ১০ লক্ষ মাস্ক বিতরণ এবং ৫ হাজার হ্যান্ডস্যানিটাইজার তৈরী করে বিতরণ করা হয়েছে। ৯ লক্ষ ৫০ হাজার সাবান এবং ২ হাজার ৫ শত পিপিই বিতরণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ভোগ্য পণ্য বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। এপর্যন্ত টিএমএসএস ৫ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকার ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সকল কর্মীদের একদিনের বেতন প্রদান করা হয়েছে।

সোসাইটি ফর সোসাল সার্ভিস (এসএসএস) ৩,৪০০ পরিবারের মধ্যে ২৩,৬৯,৮০০ টাকার ত্রানসামগ্রী বিতরণ করেছে। প্যাকেজে ছিল: চাল, ডাল, আটা, লবন, আলু, পিয়াজ, তেল, বিস্কুট ও সাবান। এছাড়া টাঙ্গাইল পতিতালয়ে ৩০০ টাকা হিসেবে ৫১০ জনকে নগদ অর্থ প্রদান করেছে।

আশ্রয় রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার বিভিনড়ব এলাকায় আদিবাসী ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে। তানোর ও মুন্ডুমালা এলাকায় ৬২৭ টি আদিবাসী ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। নওগাঁ সদর উপজেলার ১০৫টি, নিয়ামতপুর উপজেলার ১০৫টি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ৭৫টি, আমনুরার ৭৫টি এবং নাচোল উপজেলার ১৫০টি আদিবাসী ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। সাজেদা ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় নাচোল এলাকার ৪০০ জন কর্মহীন ও দরিদ্র অসহায় আদিবাসী নারী-পুরুষের মাঝে ৭৫০ টাকা করে মোট ৩ (তিন) লক্ষ টাকা নগদে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এছাড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক প্রচারপত্র এবং ৯,৭০০টি মাস্ক বিতরণ করা হয়।

রাজবাড়ী উন্নয়ন সংস্থা (রাস) সাজেদা ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে আসহায় মানবতার পাশে দাঁড়িয়েছে। সেখানে ৩০০ জন যৌনকর্মীকে ৭০০ টাকা করে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাসের নির্বাহী পরিচালক ও রাজবাড়ী জেলা এনজিও ফেডারেশনের সভাপতি জনাব মোঃ লুৎফর রহমান লাবু।

আঞ্চলিক ও স্থানীয় পর্যায়ের এনজিওসমূহ তাদের সামর্থের সবটুকু নিয়ে আর্ত মানবতার সেবায় নিজেদেরকে উৎসর্গ করেছে; সচেতনতার পাশাপাশি ত্রাণ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে নিজস্ব অর্থায়নে। শরীয়তপুরের শরীয়তপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এসডিএস), সোডেপ, সিএসএস; ফরিদপুরের এফডিএ , বিএফএফ, এসডিসি, পিডাব্লুও, ডিএমবি, একেকে, ডিএনপি; মানিকগঞ্জের পাশা, গণ কল্যাণ ট্রাস্ট; চট্টগ্রামের কোডেক, ঘাসফুল, অপকা; কুমিল্লার আবেদা মানড়বান ফাউন্ডেশন; কক্সবাজারের অর্ণব; নোয়াখালীর সাগরিকা সমাজ উনড়বয়ন কেন্দ্র; সিলেটের এসএসকেএস, আরডব্লিউডিও, জালালাবাদ ফাউন্ডেশন; রাজশাহীর আশ্রয়, লফস; বগুড়ার নামুজা অর্থনৈতিক উনড়বয়ন সংস্থা ; সিরাজগঞ্জের সুক; নাটোরের এসকেএসএস, নিডা সোসাইটি, দ্বীপশিখা, এনএসকেএস; চাঁপাই নবাবগঞ্জের আরএসডিএফ, যমুনা মানব কল্যাণ সংস্থা ও সেবা ফাউন্ডেশন; গাইবান্ধার এসকেএস ফাউন্ডেশন, ছিনড়বমূল মহিলা সমিতি; কুড়িগ্রামের এএফএডি, সিএসডিকে; দিনাজপুরের সিডিএ, এএসএসবি; ঠাকুরগাঁওের এসো জীবন গড়ি ও উপমা পল্লী উনড়বয়ন সংস্থা; নীলফামারীর ইউএসএস; খুলনার সুশীলন, আলমেরাজ ফাউন্ডেশন; যশোরের জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশন; কুষ্টিয়ার সেতু ; বরিশালের আরোহী, দিশা; বরগুনার সংগ্রাম; ঝালকাঠীর প্রতিবন্ধী উনড়বয়ন সংস্থা; টাঙ্গাইলের সেবা; ময়মনসিংহের সেবা ফাউন্ডেশন; শেরপুরের সেতু; জামালপুরের উনড়বয়ন সংঘ; নেত্রকোনার স্বাবলম্বী উনড়বয়ন সমিতি, সেরা, শ্রমজীবি উনড়বয়ন সংস্থাসহ অন্যান্যরা অনুরূপ সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও ত্রাণ তৎপরতা গ্রহণ করেছে।

যতদিন প্রয়োজন হবে, সরকারের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে এফএনবি সদস্যসংস্থাসমূহ ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে, নিরলসভাবে কাজ করে যাবে আর্তমানবতার সেবায়।

অদৃশ্য অতিমারি COVID-19 সংক্রমণের যুদ্ধ জয়ের ক্ষেত্রে সুপারিশসমুহ:

  • COVID-19 সংক্রমণের শুরু থেকে তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, খাদ্য ও কৃষি সহায়তা, স্বাস্থ্যসেবা, নগদ সহায়তা, নিরাপদ পানি সরবরাহ ও পরিচ্ছনড়বতা রক্ষা এবং ত্রাণ তৎপরতায় বেসরকারি উনড়বয়ন সংস্থাসমুহের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং সমন্বয় সাধন করা;
  • সরকারি ত্রাণ কার্যক্রমের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য বেসরকারি উনড়বয়ন সংস্থাসমূহকে এর সাথে যুক্ত করা;
  • COVID-19-এর কারণে সাময়িক স্থবির হয়ে যাওয়া এসডিজি বাস্তবায়ন কার্যক্রমের গতি অব্যাহত রাখতে বেসরকারি উনড়বয়ন সংস্থাসমূহের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা;
  • সার্বজনীন স্বাস্থ্যব্যবস্থা বাস্তবায়নে অবশ্যই প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা খাতকে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। এ কার্যক্রমে বেসরকারি উনড়বয়ন সংস্থাসমূহকে সম্পৃক্ত করা; COVID-19-এর প্রতিষেধক টিকা প্রদান কর্মসূচীর কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য তাদের সম্পৃক্ত করা অতীব জরুরী;
  • ইতিমধ্যে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য যে সকল প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে, প্রয়োজনে তার পরিমাণ বাড়ানো এবং অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানো পর্যন্ত অব্যাহত রাখা;
  • জাতীয় ভিত্তিক বিশেষ কর্ম-কৌশল প্রনয়ণ করা এবং তা বাস্তবায়নে স্থানীয় পর্যায়ে তৎপর বেসরকারি উনড়বয়ন সংস্থাসমুহকে সম্পৃক্ত করা;
  • আর্থিক ঝুঁকিতে পড়া সংস্থাগুলোকে সরকারি সমর্থনের আওতায় এনে তাদের টিকে থাকার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা;
  • অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় তৃণমূল পর্যায়ে কর্মরত বেসরকারী উনড়বয়ন সংস্থাসমূহের অংশগ্রহণ নিশ্চিৎ করা;
  • FNB সহ সকল নেটওয়ার্ক/প্লাটফর্মসমুহকে সাথে নিয়ে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে COVID-19-সহ সরকারের সার্বিক উনড়বয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করা।