কোভিড -১৯ মহামারী মোকাবেলায় মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুর দিকে ঘাসফুল এর সকল কর্মসূচী, প্রকল্পে কর্মরতদের নিরাপত্তা এবং উপকারভোগীদের সচেতনতা সৃষ্টি ও সঠিক তথ্য দেয়ার লক্ষ্যে ইমেইলে অফিস বিজ্ঞপ্তি, লিফলেট প্রেরণ এবং নিরাপদ দুরত্বে ছোট ছোট গ্রুপ করে সকলকে প্রস্তুত করা হয়। কোভিড -১৯ মহামারী সম্পর্কে সংস্থার সকল কর্মীদের বিভিন্ন তথ্য ও করণীয় সম্পর্কে অবহিত/প্রশিক্ষিত করার পর পরবর্তীতে মার্চ মাসের ২য় সপ্তাহের শেষের দিকে সংস্থার গ্রাহক/উপকারভোগীদের সচেতনতায় কার্যক্রম শুরু করা হয়, যা মার্চের ৩য় সপ্তাহ পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো। সংস্থার সকল কার্যালয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত হ্যান্ডওয়াশ ও হ্যান্ড স্যানিটেইজার সরবরাহ করা হয়।
ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম:
ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে প্রথমধাপে গ্রাহকের সুরক্ষায় সংস্থার কর্ম-এলাকা চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা, ঢাকা, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার প্রতিটি সমিতিতে প্রত্যেক মাঠকর্মী লিফলেট প্রদর্শনের মাধ্যমে সকল সদস্যদের কোভিড -১৯ মহামারী মোকাবেলায় করণীয়, সামাজিক দুরত্ব, শারীরিক দুরত্ব সম্পর্কে অবহিত করা হয়। এভাবে সতর্কবার্তা গুলো খুব স্বল্প সময়ে ৭৩৮৯৫ জন গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। আমাদের প্রশিক্ষিত কর্মীদের মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহক/সমিতির সদস্যদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকেও এ সচেতনতামূলক কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়।
দুর্যোগকালীন সংস্থার কর্ম-এলাকার ছয়টি জেলায় সকল গ্রাহক/সদস্যদের সার্বক্ষনিক খোঁজখবর নেয়া এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়ার লক্ষ্যে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা দেয়ার পূর্বে ঘাসফুল এর ৪৭৮৯টি সমিতির তিনজন করে সভানেত্রী, সম্পাদিকা এবং কোষাধ্যক্ষসহ মোট ১৪৩৬৭ জনের হালনাগাদ টেলিফোন নাম্বার সংগ্রহ করে এলাকা ও মাঠকর্মী ভিত্তিক তালিকা করা হয়।
ঘাসফুল, আইডিএফ ও অপকা’র যৌথ উদ্যোগে খাদ্য ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ:
মিরসরাইয়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অপকা (অর্গানাইজেশন ফর দ্যা পুওর কমিউনিটি এ্যাডভান্সমেন্ট), ঘাসফুল ও আইডিএফের যৌথ উদ্যোগে পল্লী চিকিৎসক ও ইউপি হেলথ প্রোভাইডারদেরকে পিপিই প্রদান, কৃষকদের সার ও বীজ সহায়তা এবং প্রতিবন্ধী ও অটিজম ব্যক্তিদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। বুধবার (২২ এপ্রিল) উপজেলার মস্তাননগরে এসব কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হয়।
ঘাসফুল কমিউনিটি হেলথ প্রোগাম এর তৎপরতা:
সংস্থার স্বাস্থ্যকর্মী’রা চট্টগ্রাম নগরীর বেশ ১১টি পোষাক কারখানায় ৭৪৫০ জন পোষাক শ্রমিকদের করোনাভাইরাস জনিত দুর্যোগ পরিস্থিতিতে করণীয় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ/অবহিতকরণ এবং কর্ম-এলাকায় অন্যান্য উপকারভোগীদের করোনাভাইরাস জনিত দুর্যোগ পরিস্থিতিতে করণীয় সম্পর্কে অবহিত করা হয়। এতে করে প্রায় ১০ হাজার উপকারভোগীদের কাছে সংস্থার কমিউনিটি হেলথ কার্যক্রমের সেবা পোঁছাতে সক্ষম হয়।
সমৃদ্ধি কর্মসূচি:
সমৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় মেখল ও গুমান মর্দ্দন ইউনিয়নে করোনাভাইরাস সর্ম্পকে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে এই ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে লিপলেট বিতরন করা হয়। প্রায় ২হাজার উপকারভোগীকে এই বিষয়ে সচেতন করা হয়।
ঘাসফুল শিক্ষা বিভাগের তৎপরতা:
ঘাসফুল পরিচালিত ২২০ টি শিক্ষাকেন্দ্র/ স্কুলগুলোতে অধ্যয়নরত ৬৫৩৭ জন ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের মাঝে করোনাভাইরাস জনিত দুর্যোগ পরিস্থিতিতে করণীয় সম্পর্কে অবহিতকরণ। এতে করে প্রায় ১২ হাজার উপকারভোগীদের কাছে সংস্থার শিক্ষা কার্যক্রমের সেবা পোঁছাতে সক্ষম হয়। এ সেবা চট্টগ্রাম নগরী এবং হাটহাজারী উপজেলায় সংস্থার সমৃদ্ধি কর্মসূচি পরিচালিত গ্রামীণ অঞ্চলের বৈকালিক পাঠদান কেন্দ্র, সেকেন্ড চান্স এডুকেশন প্রকল্পের শিখন কেন্দ্রসমুহ , ঘাসফুল পরাণ রহমান স্কুল ও ঘাসফুল শিশু বিকাশ কেন্দ্রের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়।
১লা এপ্রিল ২০২০ ঘাসফুল সেকেন্ড চান্স প্রকল্পে শিখনকেন্দ্রের ছাত্র–ছাত্রীদের দিনমজুর অভিভাবকদের মাঝে স্থানীয় ধনী ব্যক্তিদের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা প্রদান; ঘাসফুল সেকেন্ড চান্স এডুকেশন প্রকল্পের সুপারভাইজার বিদ্যুৎ দেব ও শিক্ষক রেশমি আকতার। এধরণের মানবিক সহযোগিতার জন্য ঘাসফুল এর পক্ষ থেকে জনাব লেদু সাহেব আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানানো হয়।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে ঘাসফুলের সহায়তা প্রদান:
করোনার দুর্যোগময় সময়ে খেটে খাওয়া মানুষের পাশাপাশি পরিবারের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বেসরকারি সংস্থা ঘাসফুল। চট্টগ্রামে ব্র্যাকের সহযোগিতায় ঘাসফুল-সেকেন্ড চান্স এডুকেশন আরবান প্রকল্পের ৩১জন শিক্ষার্থীকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। এদের মধ্যে দশজনকে অর্থ সহায়তা বাসায় পৌঁছে দেয়া তাদের ছবি। বাকি একুশজন শিক্ষার্থীর টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো হয়। জনপ্রতি ১৫০০/- (পনের শত) টাকা করে সর্বমোট ৪৬৫০০/- (ছেচল্লিশ হাজার পাঁচশত) টাকা প্রদান করা হয়।উল্লেখ্য, ঘাসফুল ২০১৭ সাল থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর ২১টি ওয়ার্ডে ১৪২টি কেন্দ্রের মাধ্যমে এই শিক্ষা কার্যক্রম পরিচলনা করছে।
ইয়েস (YES)প্রকল্প ঘাসফুল:
দাতা সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) এর আর্থিক সহায়তায় যুবদের নিয়ে পরিচালিত সংস্থার ইয়েস প্রকল্পের উদ্যোগে কোভিড-১৯ মহামারী নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম নগরীতে ব্যাপক সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। প্রকল্প কর্মকতাগণ কর্ম-এলাকায় ৪০০০ লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় করণীয়, সরকারি নির্দেশনা বিষয়ে জনগণকে সচেতন করেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বারটি ওয়ার্ডে (২,৩,৪,৭,৮,৯,১২,১৩,১৫,২৭,৩৩ ও ৩৭ নং ওয়ার্ড) ইয়েস প্রকল্পের সিবিও সদস্য বিভিন্ন যুব ফোরাম তারা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে অনুদান সংগ্রহ করে এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের ত্রাণ সহায়তা এলাকার দুস্থ কর্মহীন মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেয়। ঘাসফুল ইয়েস প্রকল্পের বিভিন্ন ওয়ার্ড বেইজড CBO (Community Based Organization) সদস্যরা |
চট্টগ্রাম, হাটহাজারীতে PACE প্রকল্পের তৎপরতা:
পিকেএসএফ এর সহায়তায় চট্টগ্রাম হাটহাজারী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে PACE প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ঘাসফুল। পিকেএসএফ এর নির্দেশনায় কোভিড-১৯ সৃষ্ট দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ প্রকল্পের কর্ম-এলাকার ২২০ জন উপকারভোগীর নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আশা করা যায় আগামীতে তালিকাভুক্ত এসব উপকারভোগীদের কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হবে। প্রকল্প কর্মকর্তাগণ উপকারভোগীদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করে আসছেন।
ঘাসফুল এর সাসটেইনবেল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি) এর তৎপরতা:
পিকেএসএফ এর সহযোগিতায় নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর ও সাপাহার উপজেলায় ঘাসফুল বাস্তবায়ন করছে ঘাসফুল এর সাসটেইনবেল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি)। পিকেএসএফ এর নির্দেশনায় কোভিড-১৯ সৃষ্ট দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ কর্ম-এলাকায় প্রকল্পের উপকারভোগী বিষমুক্ত আমচাষে নিয়োজিত চাষীদের মধ্যে ১৮ জনের একটি তালিকা তৈরী করা হয়েছে। আশা করা যায় খুব সহসা তাদের কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হবে।
এছাড়াও ঘাসফুল কর্মকর্তাগণ নিয়মিত প্রকল্পের উপকারভোগীদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন, স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলায় ঘাসফুল এর উদ্যোগে ইউপি কর্মকর্তা /কর্মচারীদের পিপিই ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্টির প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ :
ঘাসফুল এর উদ্যোগে ০৪ মে পঞ্চাশজন ইউপি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) ও দুস্থ অসহায় ও কর্মহীন এক’শ জন ক্ষুদ্র নৃগোষ্টির প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ১,২৬,০৮০/- (একলক্ষ ছাব্বিশ হাজার আশি) টাকার স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয় । বিতরণকৃত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম ও খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল ১০ কেজি চাল, মসুর ডাল ১ কেজি, আলু ৩ কেজি, লবন আধা কেজি, সাবান ২টি, তেল ১ লিটার, চিনি ১ কেজি, পিয়াজ ১ কেজি, মাস্ক ০২ টি। ত্রাণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: ফরিদ আহম্মেদ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে নিয়ামতপুর ইউএনও জয়া মারিয়া পেরেরা| বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নিয়ামতপুর উপজেলা সহ-সভাপতি বাবু ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন, নিয়ামতপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বজলুর রহমান নঈম, ভাবিচা ইউপি চেয়ারম্যান ওবাইদুল হক উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাঁর বক্তব্যে এ পর্যন্ত উপজেলা পর্যায়ে যে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে তারমধ্যে ঘাসফুল সবচেয়ে সুশৃংখলভাবে ত্রাণ বিতরন করেছেন বলে মন্তব্য করেন এবং ঘাসফুল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
কোভিড–১৯ সৃষ্ট দুর্যোগে ঘাসফুল–চেয়ারম্যান এর তৎপরতা:
কোভিড-১৯ সৃষ্ট মহামারি নিয়ন্ত্রণে গত ২৬ মার্চ ২০২০ থেকে দেশব্যাপি রাষ্ট্রিয়ভাবে সাধারন ছুটি ঘোষণা করা হলে কার্যত: দেশের সবকিছুই স্থবির হয়ে পড়ে। এ অবরূদ্ধ সময়ে ঘাসফুল-চেয়ারম্যান ও সমাজবিজ্ঞানী ড. মনজুর-উল-আমিন চৌধুরী ঘাসফুল কর্মীবাহিনী ও বিভিন্ন মিড়িয়ার মাধ্যমে Òস্টে হোম, স্টে সেইফ” বিষয়টি নিয়ে প্রচারণা চালায় এবং তিনি সকলকে অত্যন্ত সর্তকতা ও ধৈর্য্যরে সাথে এই শতাব্দির সবচেয়ে ভয়াবহ মহামারি মোকাবেলার আহবান জানান।
পিকেএসএফ এর সহযোগিতায় ১০৮জন শিক্ষার্থীর মাঝে ঘাসফুল’র শিক্ষাবৃত্তি প্রদান ;
ঘাসফুল দেশব্যাপী দারিদ্র দূরীকরণের পাশাপাশি নিরাপদ সবজি, স্বাস্থ্য, প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান ও শিক্ষাসহ সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র শিক্ষিত ও লেখাপড়ায় দক্ষতা অর্জন করলে হবে না, সামাজিক ও মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন ও ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতি ও কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান – পিকেএসএফ এর সহযোগিতায় আয়োজিত বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেকেন্ড চান্স এডুকেশন কর্মসূচির শিক্ষাথীরা নতুন ডিজিটাল যুগে পর্দাপন করতে যাচ্ছে ব্র্যাক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রচেষ্টায়:
শিক্ষা মানুষের অন্তর্নিহিত গুণাবলির বিকাশ ঘটায়। এটি একটি জীবন ব্যাপি প্রক্রিয়া। মানুষ জন্মের পর
থেকেই শিখতে শুরু করে এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণ করে। প্রতিটি মানুষের শেখার ধরনও ভিন্ন। এর
মধ্যে একটি হলো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা, যেটি একটি কাঠামোগত পরিবেশে কোনো একটি উদ্দেশ্য অর্জন লক্ষ্যেই পরিচালিত হয়ে থাকে। সাধারণত এ ধরনের শিক্ষা কোনো একটি পরিবেশে একটি নির্দিষ্ট শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকের ভাবের আদান-প্রদানের মাধ্যমে ঘটে থাকে।
কিন্তু! একটি ক্ষুদ্র ভাইরাস করোনা, যা জীবনের বাস্তবতাকে পরিবর্তন করে দিয়েছে। এর কারণে বন্ধ হয়ে গেছে বিশ্বের উন্নত, উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা। বাংলাদেশ ও এর ব্যতিক্রম নয়।
চলমান এ পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার জন্য ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এ লক্ষ্যে তৃতীয় শ্রেণি (সেকেন্ড চান্স এডুকেশন) স্কুলের শিক্ষার্থীরা যেহেতু সকল বিষয়ের পাঠ সম্পন্ন
করেছিল এবং মার্চ মাসের মূল্যায়নের মাধ্যমে চতুর্থ শ্রেণিতে উন্নিত হওয়ার পরিকল্পনা ছিল কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারনে শিখনের অবস্থা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় যাতে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে তাই তাদের শিখনের অবস্থা বোঝে পরবর্তী করণীয় ঠিক করার সিন্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে, সে জন্য
শিক্ষকদের সঠিক দিক-নির্দেশনা প্রদানের জন্য একটি প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এজন্য একটি
প্রশিক্ষণ মডিউল প্রস্তুত করা হয়েছে।
ঘাসফুল সেকেন্ড চান্স এডুকেশন কর্মসূচির শিক্ষার্থীরা হোম স্কুলিং কার্যক্রম এর মাধ্যমে শিক্ষাসেবা পেতে শুরু করেছে
উন্নয়ন সংস্থা ঘাসফুল এর মাধ্যমে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো, চট্টগ্রাম ও ব্র্যাকের সহযোগিতায় সেকেন্ড চান্স এডুকেশন কর্মসূচির শিশুরা ঘরে বসে (ঘর থেকে পড়বো ) – হোম স্কুলিং শিক্ষা কার্যক্রম এর মাধ্যমে শিক্ষাসেবা পেতে শুরু করেছে এটি একটি বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা৷