‘যুবদের জন্য উন্নয়ন সাংবাদিকতা’ বিষয়ক একটি কর্মশালা গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে আয়োজন করে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম। এই কর্মশালায় বাংলাদেশের ৮টি বিভাগ থেকে ৩৭জন যুব সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালার বিষয়বস্তু ব্যবহার করে অংশগ্রহণকারীদেরকে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের অর্জন ও প্রতিবন্ধকতা অথবা উন্নয়ন নিয়ে যুবদের চাহিদা ও প্রত্যাশা সম্পর্কে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আহ্বান করা হয়। এই প্রতিবেদনগুলি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে।
সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত প্রান্তিক কৃষকরা: জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি
“১০ কাঠায় রসুন আর একটু জমিতে গমের আবাদ করেছি। যে সময় যেই আবাদ আসে, সেগুলো চাষবাস করে সংসার চালাই। চাষবাস করতে কত সমস্যায় যে পড়ি, কেউ একটু আগায় আসে না। সরকারি কোনো কিছু দেয় না, একটু পরামর্শ চেয়েও পাই না।” এভাবেই প্রতিবেদককে কথাগুলো বলছিলেন নাটোর সদর উপজেলার চন্দ্রকলা এলাকার সাঁওতাল পল্লীর বাসিন্দা কৃষক, আপন উড়াও।
চুয়াডাঙ্গার যুব সমাজ: পরিবর্তনের দাবি
বর্তমান যুগ বিশ্বায়নের যুগ। এই বিশ্বায়নের যুগে প্রতিনিয়ত মানুষ তার জীবন মান উন্নয়নের জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে। সেই সংগ্রাম করার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ স্বাচ্ছন্দে জীবনধারণ এবং সমাজে নিজেকে সম্মানজনক স্থানে প্রতিষ্ঠিত করা। সমাজের সকল স্তরের মানুষের মতো যুব সমাজের কিছু নিজস্ব মতামত রয়েছে।
যশোরে পিছিয়ে হিজড়া জনগোষ্ঠী: মিলছে সামান্য সরকারি ভাতা
প্রকৃতি তার নিজস্ব খেয়ালে সৃষ্টি করলেও, পরিবার বা সমাজ আপন করেনি কখনও। নিজ ঘরে মেলেনি আশ্রয়। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা’র মতো মৌলিক পাঁচটি চাহিদাগুল ঠিকঠাক না পেয়েে চলছে তাদের জীবন। তৃতীয় লিঙ্গের হলেও নারী কিংবা পুুরুষ পরিচয়ে ভবলীলা সাঙ্গ হয়, জন্মই যেন তাদের আজন্ম পাপ। গল্পটি যশোরের হিজড়া জনগোষ্ঠীর।
নাচোলে আদিবাসী অধ্যুষিত প্রত্যন্ত ৬টি গ্রাম: স্কুলের স্বপ্ন পূরণ হলেও অপেক্ষা পাকা রাস্তার
কিংবদন্তি বিপ্লবী নেত্রী ইলা মিত্রের ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলনের পূণ্যভূমি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের আদিবাসী অধ্যুষিত কয়েকটি গ্রাম কার্তিকপুর, বাসুগ্রাম, জমিনকমিন, লইলাপাড়া, ধরইল শ্যামপুর। এই গ্রামগুলো ঘুরলে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা বাংলাদেশের মিল খুঁজে পাওয়া কিছুটা কঠিন।
রাখাইন সম্প্রদায় নানা স্বীকৃতি চায়
শতবছর পূর্বে কক্সবাজারে বসতি গড়া রাখাইনদের অনেকেই শামিল হয়েছেন বাঙালি মূল শ্রোতধারায়। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে নারী সদস্য মনোনীত হওয়াসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখাইনরা আসিন হয়েছেন। তবে সময়ের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠী আবারও বাঙালি মূল শ্রোতধারায় ফিরতে সরকারের নানা স্বীকৃতি চায় ।
হরিজনেরা শিক্ষামুখী হলেও পাচ্ছেনা নাগরিক সুবিধা
অজয়, গুনগুন ও টিটলী। হরিজন সম্প্রদায়ের এই তিন ভাইবোন উচ্চশিক্ষিত হয়ে সরকারি চাকরি করতে চায়। একই স্বপ্ন দেখে তুরামনি-তুর্জয়রাও। একজন হতে চায় চিকিৎসক, অন্যজন শিক্ষক। পরিচ্ছন্নকর্মী কাজল তার কন্যাকে বানাতে চান আইনজীবী। নবম শ্রেণী পড়ুয়া দুর্জয়ের স্বপ্ন হল সুন্দর পরিবেশ, একটি খেলার মাঠ।