দেশে গত মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। পরবর্তীতে কোভিডের ডেল্টা ধরণ মারাত্বকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সংক্রমণের মাত্রা কমিয়ে আনতে ঘোষণা করা হয় কঠোর লকডাউন। এর মূল লক্ষ্য ছিল সংক্রমণের শৃঙ্খল ভেঙে ফেলা। এই শৃঙ্খলকে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে কার্যকরভাবে ভেঙে ফেলা সম্ভব বলে মনে করা হয়। এসব ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে মানুষের আচরণের পরিবর্তনসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সংক্রমিত রোগীদের বিচ্ছিন্ন করা, সংক্রমিত হওয়ার সন্দেহের মধ্যে রয়েছে এমন ব্যক্তিদের আলাদা থাকার ব্যবস্থা করা এবং টিকার আওতা বাড়ানো। তবে বাস্তবতা হলো, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতার যথেষ্ঠ অভাব রয়েছে এবং সচেতনতা সৃষ্টিতে স্থানীয় পর্যায়ে জনসম্পৃক্ত উদ্যোগের ঘাটতি রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে ১ আগষ্ট, ২০২১ তারিখে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট, বাংলাদেশ ‘করোনা মোকাবেলায় স্থানীয় জনসম্পৃক্ত উদ্যোগ’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংলাপের আয়োজন করে। দি হাঙ্গার প্রজেক্ট ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে প্রায় ১২০০ গ্রামে ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধসক্ষম গ্রাম’ (সিআরভি) উদ্যোগ গ্রহণ করে। ভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রযুক্তিগত নির্দেশিকা অনুসরণ করে মডেল গ্রামগুলো গড়ে তোলা হয়। সংলাপে এই উদ্যোগের বিষয়টি বিশেষভাবে আলোচনায় উঠে আসে।

প্রকাশকাল: মার্চ ২০২২

Download