অতিমারির ফলে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত সেপ্টেম্বর, ২০২১ থেকে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমিত আকারে স্কুল খোলা হয়েছে। কিন্তু স্কুল খোলার পর দেখা যাচ্ছে ‘ঝরে পড়া’ শিশুর সংখ্যা আশংকাজনকভাবে বেড়ে গেছে। সাম্প্রতিক গবেষণা ও জরিপ অনুযায়ী এই সমস্যার মূল কারণ বাল্যবিবাহ এবং শিশুশ্রম। করোনাকালে বাংলাদেশের অধিকাংশ শিশু মূলত দারিদ্র্য ও অন্যান্য সামাজিক কারণে বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রমের শিকার হয়েছে যা প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশী।
এই প্রেক্ষিতে ২৫ অক্টোবর, ২০২১ তারিখে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)-এর পক্ষ থেকে “অতিমারি-উত্তর শিশুদের স্কুলে ফেরা” শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল সংলাপের আয়োজন করা হয়।
সংলাপ সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)-এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান। তিনি জানান, দেড় বছর ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর গত সেপ্টেম্বরে যখন সীমিত আকারে খোলা হয়েছে তখন দেখা গেলো শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বাল্যবিবাহ ও শিশু শ্রমের কারণে ঝরে পড়েছে। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বিশেষত নারী শিশুদের স্কুলে ফিরিয়ে আনা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে আমাদের কি করণীয় সে সম্বন্ধে আলোচনার জন্যই নাগরিক প্ল্যাটর্ফম ও এমজেএফ এ আলোচনাটির উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রকাশকাল: ডিসেম্বর ২০২১