Briefing Note2020-06-14T18:54:10+06:00

Citizen’s Platform Briefing Note

ভূমি ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা ও সেবা উন্নতিকল্পে ভূমি মন্ত্রণালয় সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ভূমি ব্যবস্থার স্বয়ংক্রীয়করণ, ডিজিটাল ভূমি জরিপ, চর ডেলেপমেন্ট এন্ড সেটেলমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীনদের মধ্যে খাসজমি বন্দোবস্ত প্রদান, ভূমি রেকর্ড আধুনিকীকরণ ইত্যাদি।

জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্তাপন করা হয়েছে এমন এক সময়ে যখন বাংলাদেশকে অতিমারী পরবর্তী অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে উত্তরণ ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাত-এ দ্বিবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে।

বাংলাদেশের জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি ২০১১-এর মূল স্লোগান হলো, সুস্বাস্থ্য উন্নয়নের হাতিয়ার। এই স্বাস্থ্য নীতির শুরুতেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য মানবসম্পদ উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে সার্বজনীনভাবে স্বীকৃত’।

করোনা অতিমারি জাতীয় ও বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন মাত্রায় ক্ষতির সৃষ্টি করেছে। সমগ্র বিশ্ব যখন এ ক্ষতি কাতিয়ে উঠছিলো, ঠিক তখনই ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার ফর ভোগ করছে।

বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন তথা আগামী দিনের পথচলাকে প্রভাবিত করা এবং তাঁর সঠিক দিকনির্দেশনার নিরিখে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)-র বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নাগরিক প্ল্যাটফর্ম স্থানীয় সমাজের ব্যক্তিদের নিয়ে ২০২২ সালের ২ অক্টোবর চট্টগ্রামে একটি নাগরিক পরামর্শ সভার আয়োজন করে। সভায় চট্টগ্রামের সুশীল সমাজ, নাগরিক প্রতিনিধি, অ্যাকাডেমিয়াসহ সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে মোট ৩০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন এবং তাদের মূল্যবান মতামত উপস্থাপন করেন। 

এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় ও তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। অথচ এ উন্নয়নের সুফল সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাচ্ছে কিনা, সে সব বিষয়ে আলোচনা খুবই সীমিত। যাদের উদ্দেশ্য করে এসব উন্নয়নমূলক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হচ্ছে, স্থানীয় পর্যায় থেকে এ বিষয়গুলোকে তারা কীভাবে মূল্যায়ন করছেন, তা সঠিকভাবে জানা জরুরি।

নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ২০২২ সালে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে স্থানীয় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ব্যক্তি খাতের উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী চেম্বার, বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, ব্যক্তি নাগরিক এবং বিশেষত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে বিভিন্ন পরামর্শ সভার আয়োজনের উদ্যোগ নেয়।

উন্নয়ন পরিকল্পনা ও স্থানীয় বাস্তবতার এই প্রথাগত টানাপোড়ন বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অভিজ্ঞতার মাপকাঠিতে যাচাই করা প্রয়োজন। উন্নয়নের সুফল সবাই সমানভাবে পাচ্ছে কি না, লিঙ্গ ও অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্য রয়েছে কি না প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা ও মত বিনিময় নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও জবাবদিহিতা মূলক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অন্যতম পূর্বশর্ত।

উন্নয়নের সুফল সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কাছে নিয়ে যেতে না পারলে এসডিজির অভীষ্ট ও লক্ষ্যসমূহ অর্জন করা সম্ভব হবে না, এবং এসডিজির মূল দর্শন ‘কাউকে পেছনে রাখা যাবে না’ এ প্রত্যয়ও বাস্তবায়িত হবে না।  যাদের জীবনমানের উন্নতির জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হচ্ছে, স্থানীয় পর্যায়ে তারা সেগুলিকে কীভাবে মূল্যায়ন করছেন তা সঠিকভাবে জানা অত্যন্ত জরুরি।

উন্নয়নের ফল সবাই সবটুকু সমানভাবে পাচ্ছে কি না? অঞ্চলভিত্তিক কোনো বৈষম্য হচ্ছে কি না? সে বৈষম্য বাড়ছে কিনা? উন্নয়নের নানামুখী সম্ভাবনা সকলে সমানভাবে ব্যবহার করতে পারবে কি না? অথবা আর কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার; এসব বিষয় নিয়ে নাগরিকদের মতামত তুলে ধরা ও তাদের ভাবনা-চিন্তা জানার লক্ষ্যে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ২০২২ সালের ৩০ জুলাই টাঙ্গাইলে একটি নাগরিক পরামর্শ সভার আয়োজন করে।

বর্তমানে জাতীয় পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় ও তৃণমূল পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা  হচ্ছে। কিন্তু এই উন্নয়নের সুফল সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর  কাছে সঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে কিনা এবং তারা সেটি পূর্ণাঙ্গভাবে পাচ্ছে কি না—সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা সাধারণত দেখা যায় না।

শ্রমবাজারের যোগান ও চাহিদার নির্ধারকগুলো প্রতিনিয়ত একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের যুবরা শিক্ষা অর্জন করলেও চাকরি খুঁজে পাচ্ছে না। অন্যদিকে, চাকরিদাতাদের ভাষ্যমতে—তারা দক্ষ জনশক্তি খুঁজে পাচ্ছে না। অর্থাৎ এই দুই পক্ষের মধ্যে সামঞ্জস্যের অভাব ক্রমান্বয়ে প্রকট হয়ে উঠছে।

সম্প্রতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সংসদে “বৈষম্য বিরোধী বিল ২০২২” উত্থাপন করেছে। সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে এই আইনটি প্রস্তাব করা হয়েছে।

Go to Top