Published in প্রথম আলো on Tuesday, 22 November 2016

সিপিডি–নাগরিক প্ল্যাটফর্মের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে সুশীল সমাজেরও দক্ষতা দরকার

জাতিসংঘে অনুমোদিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ (এসডিজি) আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জনের ক্ষেত্রে উন্নয়ন সহযোগী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তথা সুশীল সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

সে জন্য সুশীল সমাজকে এসডিজি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সরাসরি সম্পৃক্ত করে নেওয়া উচিত সরকারের। একই সঙ্গে সত্যিকারের কার্যকর ভূমিকা পালনে সুশীল সমাজেরও এসডিজির ব্যাপকতা এবং তা বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জগুলোর ওপর ধারণাগত সক্ষমতা বাড়ানো দরকার।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সহায়তায় এসডিজি বাস্তবায়নে গঠিত নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ আয়োজিত দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ অভিমত উঠে আসে। এসডিজি প্ল্যাটফর্মের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বা সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ‘অ্যাজেন্ডা ২০৩০-এর কাঠামোগত বিষয়বস্তু ও বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জসমূহ’ শীর্ষক এ কর্মশালা সম্প্রতি ঢাকার মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় পর্যায়ে এসডিজি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হওয়ার উদ্দেশ্যে গঠিত এ নাগরিক প্ল্যাটফর্মের ৩৬টি সহযোগী প্রতিষ্ঠান থেকে ৪২ জন কর্মকর্তা কর্মশালায় অংশ নেন। এসডিজিতে অন্তর্ভুক্ত উন্নয়ন অভীষ্ট ও লক্ষ্যসমূহ, বাংলাদেশের বেলায় এই উন্নয়ন অ্যাজেন্ডার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় ও প্রক্রিয়াগত দিক; সুষ্ঠু বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জসহ বিভিন্ন বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের পূর্ণাঙ্গ ধারণা দিতে কর্মশালাটির আয়োজন করা হয়।

নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এসডিজিতে অন্তর্ভুক্ত সব অভীষ্ট ও লক্ষ্য কিন্তু পরস্পর-সংশ্লিষ্ট। এগুলোর সর্বাঙ্গীণ বাস্তবায়নে সমন্বিত পদক্ষেপ ও সমান্তরাল প্রক্রিয়া নেওয়ার প্রয়োজন হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি খাতের ভূমিকা হবে নীতি প্রয়োজনীয়তার বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসা, যাতে এসডিজি অর্জনে সরকারি প্রচেষ্টায় যথাযথ সহায়তা দেওয়া যায়।

প্ল্যাটফর্মের কোর গ্রুপ সদস্য ও সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, অর্থায়ন এবং অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য তথ্য-উপাত্তের প্রাপ্যতা ও পর্যাপ্ততার বিষয়গুলোয় জোর দেন।

কর্মশালার বিভিন্ন অধিবেশনে প্ল্যাটফর্মের কোর গ্রুপ সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের ভাইস চেয়ারপারসন মুশতাক রাজা চৌধুরী; ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এবং নিউ এজ গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম। পরে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়।